Tuesday 4 August 2015

হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন

 হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন

জে. কে. রাউলিং

 

ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত হ্যারি পটার নামক কাল্পনিক উপন্যাস সিরিজের প্রথম উপন্যাস। এখানে হ্যা রি পটার নামে একজন জাদুকরের কথা বলা হয়েছে, যে এগার বছর বয়সে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করে যে সে একজন জাদুকর এবং হগওয়ার্টস নামের একটি জাদুবিদ্যা শিক্ষার স্কুলে ভর্তি হয়। হগওয়ার্টসে সে রন উইজলি ও হারমায়োনি গ্রেঞ্জার এর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং তাদের সহযোগিতায় কালো জাদুকর  লর্ড ভলডেমর্টকে পরাজিত করে এবং পরশপাথরটিকে উদ্ধার করে। ভলডেমর্টই হ্যারির এক বছর বয়সে তার বাবা মাকে হত্যা করেছিল এবং তাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল।
১৯৯৭ সালে ব্লুমসবারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সর্বপ্রথম বইটি প্রকাশ করে। ১৯৯৮ সালে বইটি হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য সরসারার্স স্টোন নামে স্কলাস্টিক কর্পোরেশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়। বইটি শিশুদের জন্য শ্রেষ্ঠ বই হিসেবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে বইটি নিউইয়র্ক টাইমসের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় প্রথম স্থান লাভ করে এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত স্থানটি ধরে রাখে। বইটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বইয়ের কাহিনী অবলম্বনে একই নামের একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে।
অসাধারন এই বই টি না পরলে দারুন কিছু মিস করবেন ।
সুতারাং বইটি ডাউনলোড  করতে ভুলবেনা ।
 click hare to download
 

মূল কাহিনি

বইয়ের কাহিনী শুরু হয়, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ কালো জাদুকর লর্ড ভলডেমর্ট এর পতনের মাধ্যমে। যে এক বছর বয়স্ক হ্যারির বাবা মাকে হত্যা করে এবং হ্যারিকে হত্যা করার চেষ্টার সময় রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। এর ফলে অনাথ হ্যারির জায়গা হয় তার খালা ও খালু পেতুনিয়া ও ভার্নন ডার্সলির পরিবারে। এগার বছর বয়সে হ্যারি হগওয়ার্টস স্কুল থেকে একটি চিঠি পায় এবং জানতে পারে যে সে একজন জাদুকর। অর্ধ দানব এবং হগওয়ার্টসের চাবি ও ভূমির রক্ষক রুবিয়াস হ্যাগ্রিড এর সহযোগিতায় হ্যারি স্কুলের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সংগ্রহ করে এবং হগওয়ার্টসে পৌঁছায়।
হগওয়ার্টসে হ্যারি গ্রিরিফিন্ডর হাউজের ছাত্র হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং বুঝতে পারে যে, সে জাদুকরদের জগতে অত্যন্ত বিখ্যাত। সে রন উইজলি ও হারমায়োনি গ্রেঞ্জার এর সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তবে স্লিদারিন হাউজের ছাত্র ড্রেকো ম্যালফয় এর সাথে তার শত্রুতা গড়ে উঠে। সকল শিক্ষক হ্যারিকে পছন্দ করলেও একমাত্র পোশন বিষয়ের শিক্ষক সেভেরাস স্নেইপ হ্যারিকে অপছন্দ করত। এসময় ধীরে ধীরে হ্যারি তার বাবা মায়ের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে থাকে। প্রথমবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের কুইডিচ খেলা নিষিদ্ধ হলেও হ্যারি তার স্বীয় দক্ষতার গুণে গ্রিফিন্ডর হাউজের কুইডিচ টিমে সিকার হিসেবে খেলার সুযোগ পায়।
এসময় হ্যারি জানতে পারে, কোন একজন গ্রিংগটস ব্যাঙ্কের পূর্বেই খালি করা একটি ভল্ট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এ রহস্য আরো ঘনীভূত হয় যখন তারা ফ্লাফি নামের তিন মাথাওয়ালা একটি কুকুরকে আবিষ্কার করে যেটি চতুর্থ তালার নিষিদ্ধ করিডোর পাহারা দিচ্ছে। হ্যালোইনের সময় একটি ট্রল স্কুলে ঢুকে পড়ে এবং ঘটনাক্রমে হারমায়োনিকে আক্রমণ করে। হ্যারি ও রন এ সময় তাকে উদ্ধার করে, কিন্তু প্রফেসর ম্যাকগোনাগলের কাছে ধরা পড়ে যায়। তবে হারমায়োনি সব দোষ নিজের বলে স্বীকার করে নেয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়।
স্লিদারিনদের বিপক্ষে হ্যারির প্রথম কুইডিচ ম্যাচে, হ্যারি তার ঝাড়ুর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। হারমায়োনি লক্ষ্য করে যে, স্নেইপ বিড়বিড় করে কিছু বলছে। সে স্নেইপের আলখাল্লায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সুযোগে হ্যারি স্নিচটি ধরে ফেললে গ্রিফিন্ডর হাউজ জয়ী হয়।
ক্রিসমাস বা বড়দিনের সময় একজন অজানা ব্যক্তি হ্যারিকে তার বাবার অদৃশ্য হওয়ার আলখাল্লাটি পায়। এ সময় সে একটি পরিত্যক্ত রুমে এরিসেডের আয়না দেখতে পায়, যার মধ্যে মানুষের অন্তরের সবচেয়ে গভীর ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়। হ্যারি তার মৃত বাবা মাকে এই আয়নায় দেখতে পায়। এদিকে, হ্যারি, রন ও হারমায়োনি নিকোলাস ফ্লামেল সম্পর্কে জানতে পারে। যিনি ফিলোসফার্স স্টোন বা পরশপাথরের স্রষ্টা। পরশপাথর হল এমন একটি পাথর যা যেকোন ধাতুকে সোনায় পরিণত করে এবং যা ব্যবহার করে এলিক্সির অফ লাইফ তৈরি করা যায়। তারা আরো জানতে পারে যে, এই পাথরটি হগওয়ার্টসে লুকানো আছে এবং ফ্লাফি এটিকে পাহারা দিচ্ছে। ভলডেমর্ট পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার জন্য পাথরটি চুরি করার চেষ্টা করছে।
হ্যারি তাৎক্ষণিকভাবে সন্দেহ করে যে, স্নেইপ ভলডেমর্টের জন্য পাথরটি চুরি করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এসময় হ্যারি ডিটেনশনের জন্য নিষিদ্ধ বনে যায় এবং দেখতে পায় যে, একটি কালো ছায়া একটি আহত ইউনিকর্নের রক্তপান করছে। ফিরেঞ্জ নামের একজন সেনট্যার জানায় যে, এই কালো ছায়াটি হচ্ছে ভলডেমর্ট। ভলডেমর্ট নিষিদ্ধ বনে ইউনিকর্নদের হত্যা করছে এবং এদের রক্ত পান করছে। কারণ ইউনিকর্নের রক্ত মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেও তাকে সারাজীবনের জন্য অভিশপ্ত করে দেয়। ইউনিকর্নকে হত্যা করা একটি মারাত্মক অপরাধ। এ সময় হ্যাগ্রিড একটি ড্রাগনের ডিমের বিনিময়ে অসাবধানতাবশত একজন অপরিচিত আগন্তুকের নিকট পরশপাথরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করার উপায় ফাঁস করে দেয়। হ্যারি সন্দেহ করে, আগন্তুকটি ছিল স্নেইপ এবং সে অচিরেই পাথরটি চুরি করবে।
তাই হ্যারি পরশপাথরটি উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে, রন ও হারমায়োনি ফ্লাফিকে কৌশল অবলম্বন করার মাধ্যমে পরাস্ত করে, এরপর তারা একের পর এক বাঁধা পার হতে থাকে। হ্যারি যখন শেষ চেম্বারে পৌঁছায় তখন সে একা হয়ে পড়ে এবং স্নেইপকে নয়, বরং প্রফেসর কুইরেলকে দেখতে পায়। কুইরেল জানায় যে, হ্যালোইনের সময় ট্রলটিকে সেই ছেড়ে দিয়েছিল। কুইডিচ ম্যাচে স্নেইপ নয়, কুইরেলই হ্যারিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। বরং স্নেইপ হ্যারিকে রক্ষার চেষ্টা করেছিল। সে এরিসেডের আয়নাটি ব্যবহারের মাধ্যমে পরশপাথরটি হস্তগত করার চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। এরপর কুইরেল হ্যারিকে আয়নাটির সামনে দাঁড়াতে বাধ্য করে, এ সময় ব্যাখ্যাতীতভাবে পাথরটি হ্যারির পকেটে চলে আসে। তারপর কুইরেল তার পাগড়িটি খুলে ফেললে, তার মাথার পিছনের দিকে ভলডেমর্টের মুখটি দেখা যায়। ভলডেমর্ট/কুইরেল হ্যারির কাছ থেকে পাথরটি নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু হ্যারিকে স্পর্শ করা মাত্রি কুইরেলের হাত পুড়ে যায়। সেই মুহূর্তে অ্যালবাস ডাম্বলডোর হ্যারিকে রক্ষা করতে আসেন; ভল্ডেমর্ট পালিয়ে যায় এবং কুইরেল মারা যায়।
হ্যারি সুস্থ হয়ে উঠলে, ডাম্বলডোর হ্যারিকে জানায় যে, হ্যারির মা লিলি হ্যারির জীবন রক্ষা করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল। হ্যারির জন্য তার মায়ের এই ভালবাসা ও আত্মদানের শক্তিই হ্যারিকে ভলডেমর্টের হাত থেকে সুরক্ষিত করে রেখেছে। ডাম্বলডোর আরো জানান, পরশপাথরটি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, যাতে ভলডেমর্ট পাথরটি চুরি করতে না পারে। তিনি বলেন, যারা পাথরটি খুঁজে পেতে চায় কিন্তু এটি ব্যবহার করতে চায়না, কেবলমাত্র তারাই পাথরটি খুঁজে পেতে সক্ষম, এই কারণেই হ্যারি পাথরটি পেয়েছিল।
বছর শেষ হওয়ার অনুষ্ঠানে, হ্যারি, রন, হারমায়োনি ও নেভিলের প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে গ্রিফিন্ডর হাউজ হাউজকাপ লাভ করে।

4 comments:

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. উপস্থাপনটা আরো ভালো হতে পারতো। হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলো এক একটা হীরের টুকরো। শৈশব-কৈশোরে হ্যারির সাথে পরিচয় না হলে একজনের জীবনের একটা বড়ো অপূর্ণতা থেকে যায়। কিন্তু কাহিনীর রিভিউটা দেখে মনে হচ্ছেনা যে এটা আর দশটা সাধারণ যাদুমন্ত্র ভর্তি রূপকথার চেয়ে আলাদা কিছু। বিশেষ করে এটা যেহেতু সিরিজের প্রথম গল্প তাই নতুন পাঠকদের কাছে ভালো করে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা প্রত্যাশিত। তাঁরা যেন হীরাকে কয়লা না ভাবে।
    যাইহোক,চালিয়ে যা দোস্ত।

    ReplyDelete
  3. vai download to hy na kali kali kosto deyar kno mane acece ki?

    ReplyDelete
  4. ডাউনলোড হচ্ছে না।

    ReplyDelete